পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কুবচন

খিস্তির পিছনেতে খুঁজছ কি যুক্তি? শ্রমিকের বস্তি বা কৃষকের মুক্তি? তুমি খালি থাকো নাকি আনাচে ও কানাচে? পেট তুমি ভরো নাকি খিস্তি ও আনাজে? তবে শোনো, তুমি হলে একদম ফাঁকিবাজ, শ্রমিকের আড়ালেতে গাল দেওয়া ধড়িবাজ। শ্রমিকেও লাঠালাঠি করে বর বউ-এতে, তাই বলে, তাই কি গো ঠিক হয় ন্যায়েতে? ‘উইদিন’ খোঁজ করে, কোথা তুমি ‘উইদাউট’? ‘উইদাউট’ করে দেয় ‘উইদিনে’ ‘সর্ট-আউট’। একথাটা লিখে গেছে টাকওয়ালা লেনিনে, তাকে আমি ধরে থাকি; ডাস্টবিনে ফেলিনে। খিস্তির পক্ষে যদি তুমি চলবে, তবে কেন বাপকে খিস্তি না ডলবে? কেন তবে শেখাবে না সন্তানে প্রতিদিন, খিস্তিতে বাঁচাবে না দিনরাত, রাতদিন? আসলে কি জানো খোকা মোদ্দা সে কথাটা? খিস্তি সে কিছু নয়, অবোধের বাতাটা। মার্ক্সবাদ ডাক দেয় সচেতন বদলে, বদলিয়ে নিতে বলে অ-বলা কে সবলে, তার স্থানে ভাসি যদি গুয়ে ভাসা জোয়ারে, শাসকেরই লাভ তাতে, গতি হয় খোঁয়াড়ে। ক্রোধ যদি খিস্তিতে পায় তার মুক্তি, তবে তাতে শাসকের বাড়ে জেনো ভক্তি। কেননা সে ক্ষোভে পোড়ে বক্তার-ই দেহ যে, সিস্টেম হেসে কয়, গালি দুটো আরও দে! হয় না, হয় নি, ইতিহাস বলবে, খিস্তিয়ে দিন কভু

নভেম্বর বিপ্লবের প্রতি

ছবি
...আমার অন্নসত্রে ক্ষুধা বড় আতুর - মহাকালের স্নিগ্ধ তালে আমার প্রবাহ তীর পায় - প্রতি বাঁচার পরে একবার থামি - শ্বাস নিই - আবার দিগন্তের প্রেমে আকুল হয়ে ... উদ্বাহু হয়ে বাতাস হই - এযে আমার চক্রবৃদ্ধির আয় - এ যে আমার অন্তিমের ইষ্ট - এ যে আমার আদুল মনের আভরণ... চলনে আমার নুপুর বাজে, বচনে বাজে গো সুর, নেশায় আমার বিপ্লবী গান, চেতনে বরবুদুর! তুমি চলে যেও না স্বপ্না - আমার সীমিতের অনুভূতিকে জাগিয়ে রাখো - আমার লোভ ... আমার সম্বল ... আমার মধ্যবিত্ত সুখী যাপন – স্মরণে জাগিয়ে রাখো - ইতিহাসের যতটুকু দায় আমার এই শিরদাঁড়া বইতে পারে ততটুকু বয়ে নিয়ে যেতে দাও ইতিহাসের কামারশালার সিংহদরজায় - আর তারপর……… তোমার সাথে আমি নীহারিকা হবো অপেক্ষায় অনন্তের প্রতি শ্বাস কেন ফেলো বিস্মরণ? তোমার তুমিতো মিশে একাকার আবহমান জীবন-মরণ। সেই রাত কবে ছিলো একাকার জিমুতেন্দ্র রবে; তোমাতে ভৈরবী খোঁজা, একাকার প্রেমেতে, নীরবে? লাল পথে অসীমের মুগ্ধতায় যবে, একাকি অসহায়, বিস্মরণে বয়ে গেছে সে যে, যা ছিল লোহিত কণিকায়। ধূলিময় অসময় কেটে গেছে, নিয়ে গেছে সরল আকুতি; ফেলে আসা প্রান্তরে সেই শোক চাপা দেয়, শিউলি প্র