নভেম্বর বিপ্লবের প্রতি


...আমার অন্নসত্রে ক্ষুধা বড় আতুর - মহাকালের স্নিগ্ধ তালে আমার প্রবাহ তীর পায় - প্রতি বাঁচার পরে একবার থামি - শ্বাস নিই - আবার দিগন্তের প্রেমে আকুল হয়ে ... উদ্বাহু হয়ে বাতাস হই - এযে আমার চক্রবৃদ্ধির আয় - এ যে আমার অন্তিমের ইষ্ট - এ যে আমার আদুল মনের আভরণ...

চলনে আমার নুপুর বাজে, বচনে বাজে গো সুর,

নেশায় আমার বিপ্লবী গান, চেতনে বরবুদুর!

তুমি চলে যেও না স্বপ্না - আমার সীমিতের অনুভূতিকে জাগিয়ে রাখো - আমার লোভ ... আমার সম্বল ... আমার মধ্যবিত্ত সুখী যাপন – স্মরণে জাগিয়ে রাখো - ইতিহাসের যতটুকু দায় আমার এই শিরদাঁড়া বইতে পারে ততটুকু বয়ে নিয়ে যেতে দাও ইতিহাসের কামারশালার সিংহদরজায় -
আর তারপর………
তোমার সাথে আমি নীহারিকা হবো

অপেক্ষায় অনন্তের প্রতি শ্বাস কেন ফেলো বিস্মরণ?
তোমার তুমিতো মিশে একাকার আবহমান জীবন-মরণ।

সেই রাত কবে ছিলো একাকার জিমুতেন্দ্র রবে;
তোমাতে ভৈরবী খোঁজা, একাকার প্রেমেতে, নীরবে?
লাল পথে অসীমের মুগ্ধতায় যবে, একাকি অসহায়,
বিস্মরণে বয়ে গেছে সে যে, যা ছিল লোহিত কণিকায়।
ধূলিময় অসময় কেটে গেছে, নিয়ে গেছে সরল আকুতি;
ফেলে আসা প্রান্তরে সেই শোক চাপা দেয়, শিউলি প্রভাতি।
এক হতে বহু হয়ে, চলমান মহাকাল প্রতিবার;
আরবার স্মৃতিপটে আলো খোঁজে বিপ্লবী তলোয়ার ।


অরোরার ধ্বনি কি গো হারায় কোনদিন?
বারবার ফিরে আসে ইতিহাসে, শোধ নিতে রক্তের ঋণ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সংশোধনবাদ ও সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে লেনিনের সংগ্রাম - অনুবাদে রুমা নিয়োগী(প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব)

আদিম কমিউন থেকে বুর্জোয়া রাষ্ট্র পর্যন্ত মানব সমাজের যাত্রার ধারা বেয়ে রাষ্ট্রের শ্রেণি চরিত্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে মতানৈক্যের উৎস ও সমাধানের খোঁজে – একটি প্রস্তাবনা ;প্রয়াসে চঞ্চল মুন্সী এবং চারুদত্ত নীহারিকা রজত

রুশ বিপ্লবের বিকাশ পথ < মূল হিন্দি রচনা ডঃ রাম কবীন্দ্র; বাংলায় অনুবাদে - চন্দন দত্ত>