পোস্টগুলি

মে, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বর্তমান ভারতীয় কৃষি-ব্যাবস্থা'র চরিত্র আধা-সামন্ততান্ত্রিক না পুঁজিবাদী? একটি পর্যালোচনা - রচনা: চন্দন দত্ত

ছবি
১৯৬৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী'র উদ্যোগে 'সবুজ বিপ্লব'-এর ঢক্কানিনাদ-এর  পর ধেকেই গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছিল যে ভারতের কৃষি-ব্যবস্থায় নাকি একটা বিরাট পরিবর্তন সাধিত হয়ে গেছে। এরপর ১৯৯১ সালে আর এক প্রধানমন্ত্রী শ্রী পি ভি নরসিংহ রাও মন্ত্রীসভার অর্থমন্ত্রী শ্রী মনমোহন সিং দ্বারা 'আর্থিক-উদারীকরণ' নীতি প্রণয়নের স্বল্পকাল পর থেকেই ভারতের রাজনৈতিক মহলে কলরব শুরু হয়ে গেছে যে, ভারতীয় কৃষি ব্যবস্থা এবার পুঁজিবাদী চরিত্র অর্জন করে ফেলেছে। সম্প্রতি কিছু কিছু বাম মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি এবং সংগঠনের তরফ থেকেও জোরালো ভাবে এই দাবি পেশ করা হচ্ছে। তাহলে কি ভারতের কৃষি-ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন হয়ে ব্রিটিশ জমানার আধা-সামন্ততান্ত্রিক কৃষি-ব্যবস্থা বর্তমানে পুঁজিবাদী কৃষি-ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়ে গেছে? এই পরিবর্তনের পক্ষে যাঁরা গলা মেলাচ্ছেন, তাঁরা এর কারণ স্বরূপ সবুজ বিপ্লব, জমিদারি নির্মুলন আইনের প্রনয়ণ, জমির উর্ধসীমার পুনর্নির্ধারণ, কৃষিতে পুঁজি নিবেশের পথ সুগম করতে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য সরকারী ঋণের সুবিধা প্রদান প্রভৃতি সংষ্কারমূলক সরকারী পদক্ষেপ, আমদানীকৃত উন্নত

বলশেভিকবাদের সেরা দুশমন ট্রটস্কি (চতুর্থ তথা শেষ পর্ব) - বোধায়ন রায়

ছবি
(এই প্রবন্ধটি “ Towards A New Dawn…the other voice of the people magazine ”-এ ২০১২ সালের জানুয়ারি – ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। লেখাটিকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন চারুদত্ত নীহারিকা রজত) (চতুর্থ তথা শেষ পর্ব) সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বহিষ্কৃত হবার পর প্রতিক্রিয়াশীল কর্মকাণ্ডঃ বহিষ্কারের পর, ট্রটস্কির, সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রোলেতারিয়েত একনায়কতন্ত্রের প্রতি বিরোধিতা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। একদিকে, বুর্জোয়া প্রচারমাধ্যমের মাধ্যমে, যেটির দ্বারা তিনি বেশ ভালোমতন উপার্জন করেছিলেন এবং অপরদিকে, অক্টোবর বিপ্লবের প্রতি বিশ্বস্ত, সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতাদের খুন করবার জন্য ষড়যন্ত্রের দ্বারা তিনি, পুঁজিবাদী প্রতিক্রিয়ার তরফে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে আরম্ভ করেন। ১৯২৯ সালের অক্টোবর মাসে, ওয়াল স্ট্রিটের পতনের আরম্ভের মধ্যে, যেটিকে এখন আমরা মহামন্দা বলে জানি, পুঁজিবাদ তার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সংকটকে প্রত্যক্ষ করে। এটি আমেরিকা থেকে শুরু হয়ে প্রত্যেক পুঁজিবাদী দেশ এবং প্রত্যেক উপনিবেশকে প্রভাবিত করে এবং এটি ১৯৪০ সালের গোড়া পর্যন্ত স্থায়ী হয়। যদিও, আমেরিকার মতন কিছু অর্থনীতি ১৯৩৪ সালের আশপাশ নাগদ এটিকে কিছ

বলশেভিকবাদের সেরা দুশমন ট্রটস্কি (তৃতীয় পর্ব) - বোধায়ন রায়

ছবি
(এই প্রবন্ধটি “ Towards A New Dawn…the other voice of the people magazine ”-এ ২০১২ সালের জানুয়ারি – ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। লেখাটিকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন চারুদত্ত নীহারিকা রজত) (তৃতীয় পর্ব) বলশেভিকরা একটি সশস্ত্র গণ-অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং শাসক শ্রেণি ও তাদের দোসররা, মেনশেভিক এবং “সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীরা”, সেটা অনুমান করেছিলো। তারা বলশেভিকদের, বিশেষত লেনিনকে জার্মানির চর বলে অভিযুক্ত করলেন। যদি লেনিন, প্রতিবিপ্লবী কোর্টে নিজেকে, সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্ত করবার জন্য হাজির করতেন, তাহলে হয় তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হতো, নয়তো তাকে গুম-খুন করে ফেলা হতো। ট্রটস্কি, অন্যান্য আরও কয়েকজনের সাথে মনে করেছিলেন, লেনিনের, বিচারের জন্য, কোর্টের সামনে হাজির হওয়া উচিত। জুলাই- আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত বলশেভিকদের ষষ্ঠ সম্মেলন এই বিষয়ে মত প্রকাশ করে যে, লেনিনের বিচার আসলে তাকে খুন করবার একটি পরিকল্পনা এবং তার বিচারের জন্য হাজির হবার মতকে বাতিল করে। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়েই ট্রটস্কি বলশেভিক পার্টিতে প্রবেশ করেন। ট্রটস্কিপন্থীরা জোরের সাথে দাবি করেন যে, যদিও লেনিন এবং ট্রটস্কির মধ্যে অতীতে অনেক মত প

বলশেভিকবাদের সেরা দুশমন ট্রটস্কি (দ্বিতীয় পর্ব) - বোধায়ন রায়

ছবি
(এই প্রবন্ধটি “ Towards A New Dawn…the other voice of the people magazine ”-এ ২০১২ সালের জানুয়ারি – ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। লেখাটিকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন চারুদত্ত নীহারিকা রজত) (দ্বিতীয় পর্ব) লেনিনবাদ বলে যে, পুঁজিবাদের ফলে সৃষ্টি হয় অসম রাজনৈতিক এবং  অর্থনৈতিক বিকাশ এবং যার ফলে প্রথমে একটি দেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৫ সালে লেনিন লিখলেন, “পুঁজিবাদের একটি চরম নিয়ম হল অসম অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক বিকাশ। এই কারণে, এক বা একাধিক পুঁজিবাদী দেশে সমাজতন্ত্রের বিজয় সম্ভব হয়। পুঁজিপতিদের ক্ষমতাচ্যুত ও নিজেদের সমাজতান্ত্রিক উৎপাদনকে সংগঠিত কোরে, সেই দেশের বিজয়ী প্রোলেতারিয়েত  বিশ্বের অবশিষ্ট পুঁজিবাদী দেশগুলির বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ায় এবং অন্যান্য দেশের নিপীড়িত শ্রেণীগুলিকে আকর্ষিত করে ও সেই সব দেশে, পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানকে জাগ্রত করে এবং প্রয়োজনে, সশস্ত্র বাহিনীকে সেই  দেশের নিপীড়ক  শ্রেণী র বিরুদ্ধে ব্যবহার করে।“ যদি একটি দেশের প্রোলেতারিয়েত তার দেশের বুর্জোয়াদের ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে সফল হয়, যখন অন্যান্য দেশগুলিতে সেই ধরণের বিপ্লবী শক্তি বিকশিত হয় নি বা, বুর্জোয়ারা ব